মাউন্ট এভারেস্ট | বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ

0
পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম মাউন্ট এভারেস্ট। প্রায় ৯ কিলোমিটার উঁচু এই পর্বতশৃঙ্গ চীন অধিকৃত তিব্বত এবং নেপালের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সীমানা চিহ্নিত করেছে


মাউন্ট এভারেস্ট

পৃথিবীর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সবচেয়ে ওপরে অবস্থিত সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম মাউন্ট এভারেস্ট। প্রায় নয় কিলোমিটার উঁচু এই পর্বতশৃঙ্গটি চীন অধিকৃত তিব্বত এবং নেপালের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সীমানা চিহ্নিত করছে। মাউন্ট এভারেস্ট শৃঙ্গটি মূলত হিমালয় পর্বতমালার অংশ। সাধারণত পর্বতকে স্থিরতা এবং অবিচলতার প্রতীক হিসেবে দেখা হলেও পৃথিবীর বৃহত্তম এই পর্বতমালাটি কিন্তু স্থির নয়। প্রতিবছরই এই পর্বতমালা দক্ষিন পূর্ব দিকে একটু একটু করে সরে যাচ্ছে। আর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতাও প্রতি বছর একটু একটু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্থানীয় ভাষায় স্বর্গমাতা হিসেবে পরিচিত এই মাউন্ট এভারেস্ট সম্পর্কে চলুন দশটি চমকপ্রদ তথ্য জেনে নেয়া যাক।



বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ


শুধু মাউন্ট এভারেস্ট না, পুরো হিমালয় পর্বতমালার সৃষ্টি হয় ভূতাত্বিক একটি বিশেষ ঘটনার মধ্য দিয়ে। আনুমানিক ১০ কোটি বছর আগে ভূপৃষ্ঠের ইন্ডিয়ান টেকটনিক প্লেটটি আফ্রিকান প্লেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ধীরে ধীরে উত্তর পূব দিকে সরে আসা শুরু করে। যার ধারাবাহিকতায় প্রায় পাঁচ কোটি বছর আগে ইন্ডিয়ান প্লেটের একপ্রান্ত ইউরেশিয়ান প্লেটের নীচে ঢুকে যায়। দুটো টেকটনিক প্লেটের মধ্যে এই সংঘর্ষের ফলে প্রায় তিন কোটি বছর আগে ইন্ডিয়ান প্লেটের একাংশ উপরের দিকে উত্থিত হওয়া শুরু করে। সেই উত্থানের ফলেই পৃথিবীতে ভূপৃষ্ঠের ওপরে অবস্থিত সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের জন্ম হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দুটো দেশ চীন এবং ভারতের অবস্থান এই পর্বতমালার দুই পাশে। সৌভাগ্যবশত এই পর্বতমালা বা মাউন্ট এভারেস্ট সৃষ্টির সময় পৃথিবীতে মানবজাতির অস্তিত্ব ছিল না। নয়তো ঐ সংঘর্ষজনিত ভূমিকম্প এবং ভূমিধসে পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ মানুষই নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতো।
 
সৃষ্টি প্রায় পাঁচ কোটি বছর আগে হলেও এই পর্বতমালার পাদদেশে মানুষের বসবাস শুরু হয় আনুমানিক এক লাখ বছর আগে। তবে এর অধিকাংশ সময় জুড়েই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গটি অনাবিষ্কৃত অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিল। শেষ পর্যন্ত উনবিংশ শতকে ভারতবর্ষ শাসনকারী বৃটিশরা এই পর্বতটিকে আবিষ্কার ও যথাযথ স্বীকৃতি প্রদান করে। এর জন্য অবশ্য বৃটিশদের কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। ১৮০২ সালে বৃটিশ রাজের কর্মকর্তারা ভারতবর্ষের বিভিন্ন পর্বতমালার শৃঙ্গগুলোর উচ্চতা মাপতে একটি মহাপ্রকল্প হাতে নেয়। দ্যা গ্রেট ট্রিগোনমেট্রিক সার্ভে অভ ইন্ডিয়া নামে পরিচিত সেই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় দক্ষিণ ভারত থেকে। এই সার্ভের কাজে ব্যবহৃত থিওডোলাইট যন্ত্রগুলো এত বিশাল আকারের ছিল যে সেগুলোর একেকটি  বহনে ১২ জন করে শ্রমিক প্রয়োজন পড়তো। কারণ একেকটি থিওডোলাইটের ওজন ছিল প্রায় ৫০০ কেজি।  সেই প্রকল্পের জরীপকারীরা ১৮৩০ সাল নাগাদ হিমালয় পর্বতমালার পাদদেশে পৌছে যান। কিন্তু নেপাল সরকার তাদের সীমানায় বৃটিশ কোন নাগরিককে প্রবেশের অনুমতি না দেয়ায় জরীপের গতি মন্থর হয়ে যায়। তবে জরীপকারীরা দমে না যেয়ে দূর থেকেই পর্বতমালার বিভিন্ন শৃঙ্গের উচ্চতা মাপার কাজ চালিয়ে যান। ঐ সময় কাঞ্চনজঙ্ঘা শৃঙ্গটি পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হতো। কিন্তু ১৮৫০ সালে অ্যান্ড্রু ওয়া কাঞ্চনজঙ্ঘার দেড়শো কিলোমিটার দূরে আরেকটি শৃঙ্গ শনাক্ত করেন এবং জানান এটির উচ্চতা কাঞ্চনজঙ্ঘার চেয়ে বেশী। আরো কয়েক দফা মাপজোকের পর পিক ফিফটিন হিসেবে পরিচিত এই শৃঙ্গটিকে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গের খেতাব দেয় বৃটিশ ভূতাত্বিক জরীপ সংস্থা। 
 
এই পর্বতশৃঙ্গটি আবিষ্কার করেন ভারতে নিযুক্ত বৃটিশ সার্ভেয়র জেনারেল অ্যান্ড্রু ওয়া। তিনি তার পূর্বসূরী স্যার জর্জ এভারেস্টের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই শৃঙ্গটির নাম প্রস্তাব করেন মাউন্ট এভারেস্ট। তার এই প্রস্তাবে তুমুল আপত্তি জানান স্যার এভারেস্ট। শৃঙ্গটির নাম স্থানীয় ভাষায় করা উচিত বলেও জানান সাবেক ঐ বৃটিশ সার্ভেয়র জেনারেল। তবে সুপ্রচলিত কোন স্থানীয় নাম না থাকায় শেষ পর্যন্ত অ্যান্ড্রু ওয়ার প্রস্তাবনাটিই সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হয়। সেই ধেকে পর্বতশৃঙ্গটি মাউন্ট এভারেস্ট নামেই পরিচিতি পেয়েছে। তবে এতো গেল আধুনিক যুগের কথা। প্রাচীন আমলেও বিভিন্ন সময় এই শৃঙ্গটির বিভিন্ন নাম ছিল। রোমানরা এই শৃঙ্গটি সম্পর্কে জানতে পারে চীনাদের কাছ থেকে। যারা এই শৃঙ্গটির নাম দিয়েছিল চোমোলংমা। চৈনিক এই শব্দটির অর্থ পবিত্র মাতা। সেই আমলে পর্বতমালাটির অপর প্রান্তে বসবাসকারীদের ভাষা সংস্কৃতে এই শৃঙ্গটির নাম স্বর্গমাতা বা আকাশ দেবী।   
 
শৃঙ্গটির আবিষ্কর্তা অ্যান্ড্রু ওয়া এর উচ্চতা পরিমাপ করেছিলেন ২৯ হাজার ফুট বা প্রায় আট হাজার আটশো চল্লিশ মিটার। পরবর্তী সময় ভারতীয় এবং চীনা সার্ভেয়রদের মাপজোক অনুযায়ী বর্তমানে পর্বতটির আনুষ্ঠানিক উচ্চতা ধরা হয় আট হাজার আটশো আটচল্লিশ মিটার, বা উনত্রিশ হাজার উনত্রিশ ফুট। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো এই শৃঙ্গটির উচ্চতা প্রতিবছরই গড়ে ৫ মিলিমিটার করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থাত আনুমানিক ৪০০ বছর পর এই শৃঙ্গটির উচ্চতা আট হাজার সাড়ে আটশো মিটারে পৌছুবে। তবে মাউন্ট এভারেস্ট কিন্তু পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ না। এই খেতাবটি রয়েছে হাওয়াইয়ে অবস্থিত মাওনা কিয়ার ঝুলিতে। সব মিলিয়ে এই পর্বত শৃঙ্গটির উচ্চতা দশ হাজার মিটার বা দশ কিলোমিটারেরও বেশী। তবে এর অর্ধেকের বেশী সমুদ্রের পানিতে ডুবে আছে। এই পর্বতের সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরে দৃশ্যমান অংশের উচ্চতা চার হাজার দুশো মিটারের কিছু বেশী। আর আমাদের সৌর জগতে সর্বোচ্চ শৃঙ্গটি রয়েছে মঙ্গল গ্রহে। অলিম্পাস মন্স নামক সেই শৃঙ্গটির উচ্চতা প্রায় বাইশ কিলোমিটার।
 
ভূপৃষ্ঠের ওপর সর্বোচ্চ এই শৃঙ্গটি আরোহনের দুটি পথ রয়েছে। নেপালের নিয়ন্ত্রণাধীন দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্তের পথটি ১৯৪৭ পর্যন্ত বিদেশীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল না। তাই তার আগ পর্যন্ত এই শৃঙ্গটি আরোহনের সব চেষ্টাই করা হয়েছে পর্বতের উত্তরপুব প্রান্তে অবস্থিত অধিকৃত তিব্বত বা চীনের নিয়ন্ত্রনাধীন পথটি দিয়ে। অপেক্ষাকৃত বেশী দুর্গম এই পথে ১৯২১ সালে প্রথম বৃটিশ এক দল অভিযাত্রী মাউন্ট এভারেস্ট আরোহনের চেষ্টা চালান। তবে তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর প্রায় তিন যুগ সর্বোচ্চ সাড়ে আট হাজার মিটারের বেশী উচ্চতা অতিক্রমে সক্ষম হয়নি কোন অভিযাত্রীই। শৃঙ্গটির সর্বশেষ তিনশো মিটার উচ্চতা বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়ায় তাদের জন্য। শেষ পর্যন্ত ১৯৫৩ সালে নিউজিল্যান্ডের পর্বত আরোহনবিদ স্যার এডমুন্ড হিলারি এই শৃঙ্গটি বিজয়ে সক্ষম হন। তার সাথে শেরপা হিসেবে ছিলেন তেনজিং নরগে। এরপর এখন পর্যন্ত মাউন্ট এভারেস্টের বেইজ ক্যাম্প অতিক্রম করেছেন সব মিলিয়ে বাইশ হাজারের বেশী মানুষ। যার অর্ধেকই অবশ্য স্থানীয় শেরপা, যারা বিদেশী আরোহনকারীদের রসদ বহনে সহায়তা করে। তবে এদের মধ্যে শৃঙ্গ বিজয়ীর সংখ্যা পাঁচ হাজারেরও কম।
 
আরোহনকারীদের সুবিধার্থে মাউন্ট এভারেস্টের প্রথম আট কিলোমিটার উচ্চতায় মোট পাঁচটি ক্যাম্প বা আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। একাধিক তাবু দিয়ে নির্মিত এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলো আরোহনকারীদের পার্বত্য পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করে। এই ক্যাম্পগুলোর মধ্যে প্রথমটি বেইজ ক্যাম্প নামে পরিচিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা পাচ হাজার চারশো মিটার বা সতের হাজার সাতশো ফুট। ক্যাম্প ওয়ান নামক পরবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রটি ছয় হাজার একশো মিটার বা ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। ক্যাম্প ওয়ানের অবস্থান ছয় হাজার চারশো মিটার বা একুশ হাজার ফুট উচুতে। ক্যাম্প টু এবং থ্রি আশ্রয়কেন্দ্র দুটো যথাক্রমে ছয় হাজার চারশো এবং ছয় হাজার আটশো মিটার উচুতে অবস্থিত। আর ক্যাম্প ছোর নামক সর্বশেষ আশ্রয়কেন্দ্রটির অবস্থান আট হাজার মিটার বা ছাব্বিশ হাজার ফুট উচ্চতায়।
 
মাউন্ট এভারেস্ট আরোহনের চেষ্টাকারীদের মধ্যে প্রতি একশ জনে একজনের এই কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত এই পর্বতে বিভিন্ন দুর্ঘটনা আর অসুস্থতায় প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা তিনশোর বেশী। এদের মধ্যে অধিকাশংই প্রাণ হারান মূলত তিনটি কারণে। আরোহনের সময় নীচে পড়ে গিয়ে, তুষারধসে চাপা পড়ে এবং উচ্চতাজনিত বিভিন্ন অসুখে। তবে আরোহনের সময় নীচে পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা তুষার ধসে মৃত্যুর অর্ধেক। চিকিতসকদের ভাষ্য অনুযায়ী সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে সাত কিলোমিটারের বেশী উচ্চতায় অক্সিজেনের মাত্রা সমুদ্রপৃষ্ঠের তিন ভাগের এক ভাগ মাত্র। এর ফলে উচ্চতাজনিত বিভিন্ন অসুখ দেখা দিতে পারে। যার মধ্যে মাথায় রক্তপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে হেমোরেজ সবচেয়ে আশংকাজনক। যাতে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু বা অন্ধত্ব বরণ করতে হয়। মাউন্ট এভারেস্টের শেষ পাঁচশো মিটার এলাকা মৃত্যুপুরী বা ডেথ জোন নামে পরিচিত। কারণ এই পর্বত আরোহনের সময় প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের ১০৭ জনই মারা গেছেন এই উচ্চতায়। এইসব মরদেহ অধিকাংশ সময়ই সভ্যজগতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় না। তাই এখনো শতাধিক মরদেহ পর্বতজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
 
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এত উচুতে অধিকাংশ প্রাণীই জীবনধারণ করতে পারে না। তবে হিমালয় পর্বতমালা বা মাউন্ট এভারেস্ট জীববৈচিত্র্যবিহীন কোন এলাকা না। এখানে ইয়াক নামক লোমশ এক প্রজাতির গরু গৃহপালিত এবং ভারবাহী পশু হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শিকারী প্রানীদের মধ্যে স্নো লেপার্ড বা তুষার চিতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যদিও এই প্রজাতিটি বিলুপ্তির আশংকায় রয়েছে। পাখিদের মধ্যে বার হেডেড গিজ প্রজাতির হাস প্রতি শীতে এই শৃঙ্গ অতিক্রম করে। এ সময় পরিযায়ী এই হাসগুলোকে শিকার করে এক প্রজাতির শকুন। পৃথিবীতে একমাত্র এই প্রজাতির শকুনই মৃত প্রানী ভক্ষনের বদলে জীবন্ত প্রাণী শিকার করে বেঁচে থাকে।
 
পৃথিবীর আর সব অঞ্চলের মত হিমালয় পর্বতমালা এবং মাউন্ট এভারেস্টও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রভাবিত হচ্ছে। এই পরিবর্তনজনিত বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে মাউন্ট এভারেস্টে তুষারপাতের পরিমান কমে যাচ্ছে। যার ধারাবাহিকতায় অতীতে বরফের নীচে ঢাকা পড়া অনেক স্থানেই এখন বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ চোখে পড়ে। এর বিপরীতে অবশ্য এই পর্বতে অবস্থিত বিভিন্ন হিমবাহে সঞ্চিত বরফের পরিমান কমে যাওয়ায় এখানে উতপন্ন বিভিন্ন নদনদী শুকিয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। তেমনটা হলে এই সব নদনদীর ওপর নির্ভরশীল মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়ে যাবে।
 
প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই হিমালয় পর্বতমালার বিভিন্ন শৃঙ্গকে স্থানীয়রা বিভিন্ন দেবদেবীদের বাসস্থান হিসেবে শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছে। মাউন্ট এভারেস্টও তার ব্যতিক্রম না। আগেই বলা হয়েছে সংস্কৃত ভাষায় এর নাম স্বর্গমাতা। অর্থাত প্রাচীন আমলে তাদের ধারণা ছিল আকাশ দেবী এই শৃঙ্গেই বসবাস করেন। এখনো কিছু মানুষ বিশ্বাস করেন এই পর্বতে রহস্যময় ইয়েতি বা বরফমানবের অস্তিত্ব রয়েছে। যদিও জীববিজ্ঞানীরা বিস্তর গবেষণা চালিয়ে নিশ্চিত হয়েছেন এই প্রাণীটি পুরোপুরি মানুষের কল্পনাপ্রসূত।

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Ok, Go it!